প্রিন্টার কিনবেন বলে ভাবছেন? কিন্তু কোনটা কিনবেন?

No photo description available.আমাদের আজকের পোস্টটি প্রিন্টার নিয়ে। আশা করছি আপনাদের উপকারে আসবে।
প্রিন্টার সাধারণত ব্যাংক, বীমা, স্কুল-কলেজ, শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের আধিক্য লক্ষ্য করা গেলেও, হোম ইউজাররাও এর ব্যবহার থেকে পিছিয়ে নেই।
প্রযুক্তির যত উন্নতি সাধিত হচ্ছে, আমরা তত বেশি এর ব্যবহারের মাধ্যমে অলস হতে চলেছি। এখন কিছু ডকুমেন্ট প্রিন্ট করার জন্য আর দোকানে যেতে হয় না। কারন এখন আপনি একটা UPS- এর দামে Canon অথবা HP এর ভালো মানের InkJet প্রিন্টার পাবেন। প্রিন্টার ব্র্যান্ড গুলো বিভিন্ন ধরনের ভোক্তার চাহিদার কথা মাথায় রেখে তৈরি করছে নানা ধরনের, বিভিন্ন দামের প্রিন্টার।
প্রিন্টারের ব্যবহার কোন্ কোন্ ক্ষেত্রগুলোতে হয়ে থাকে তা অনেক ব্যাপক আলোচনার বিষয়। আমরা প্রধানত দুই শ্রেনীর ব্যবহারকারী ধরে নিয়েছি, লেখা সংক্ষেপ করার জন্যে।
১. হোম ইউজারঃ
-আপনি কি ধরনের ডকুমেন্ট প্রিন্ট করবেন।
-দৈনিক বা সপ্তাহে কত পেজ প্রিন্ট করবেন।
-সাদাকালো নাকি রঙ্গিন প্রিন্ট হবে।
-টেক্সট প্রিন্ট করবেন, কিন্তু অনেক দ্রুত।
ছ-বি প্রিন্ট করবেন, ভালো কোয়ালিটি হতে হবে।(যেমন স্টুডিওতে যে প্রিন্টার ব্যবহার হয়।
-প্রিন্ট করার পাশাপাশি চাচ্ছেন স্ক্যানিং, কপি করতে।
উপরে ব্যবহারের কিছু পয়েন্ট তুলে ধরলাম। এতে করে বুঝতে সহজ হবে।
প্রিন্টার কাজের উপর ভিত্তি করে কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ Ink Jet, Laser, Dot Matrix, Pose Printer ইত্যাদি।
Ink Jet প্রিন্টার হোম ইউজারদের পছন্দের প্রিন্টার। এসব প্রিন্টারের দাম খুবই কম। দাম কমের কারনে এসব প্রিন্টার কিনতে কোন ধরনের বেগ পেতে হয় না। আপনি যেকোনো ‍ধরনে “টেক্সট বা ছবি” সাদাকালো বা রঙ্গিন ফরমেটে প্রিন্ট দিতে পারবেন। প্রিন্ট করার পাশাপাশি স্ক্যানিং ও কপি করার জন্য অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টার নিতে পারেন।
হোম ইউজারদের জন্য ২৬০০-৬৫০০ টাকার InkJet প্রিন্টার।
আমাদের পোষ্টের ছবিটির দিকে লক্ষ্য করুন, নিচে আমরা যে সকল প্রিন্টার এর বর্ণনা দিবো, তার প্রতিটির ছবি অটাতে আছে। আর আরো ভালো করে দেখতে চাইলে মডেল লিখে গুগলে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন।
1.Canon PIXMA IP 2772
এই প্রিন্টারটি ছোট আকারের একটি ইন্কজেট প্রিন্টার। এর কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলঃ
# Inkjet Photo Printer(Photo Lab Quality)
# Paper Size: A4/A5/LTR/LGL
# Resolution: 4800x1200dpi
# Speed: Black 7.0ipm & Color 4.8ipm
# 4 Color(2 Fine Cartridge)
# Price: 2999/- (With CISS TK- 4200/-)
অধিক প্রিন্টের জন্য, ৯০% খরচ বাচাঁনোর জন্য এর মধ্যে CISS(Continue Ink Supply System) ব্যবহার করা যায়। যা Drum নামে বেশি প্রচলিত।
2. HP DeskJet 1000
এই প্রিন্টারটি আকারে ছোট। ছোট বাচ্চারাও এটা বহন করতে পারবে। প্রিন্ট কোয়ালিটি চমৎকার। আরো কিছু জানুন নিচ থেকে।
# Print speed black:
ISO Laser comparable:Up to 5.5 ppm
Draft:Up to 16 ppm
# Print speed color:
ISO Laser comparable:Up to 4 ppm
Draft:Up to 12 ppm
# Duty cycle (monthly, A4)
Up to 1000 pages
# Resolution
Up to 4800 x 1200 dpi
# Price: 2650/-
এর মধ্যে CISS(Continue Ink Supply System) ব্যবহার করা যায় না।
3. EPSON ME-10(4Cart)
EPSON-এর এটি একটি নতুন সংস্করন। খুবই ছোট আকারের এই প্রিন্টারটিতে চারটি Individual Cartridge ব্যবহার হয়েছে। আরো কিছু জানতে নিচে দেখুন।
# Print Speed up to 24ppm
# Print Resolution up to 5760x1440
# Lower Cost Per Cartridge
# Individual Ink Cartridges
# Small Footprint
# Price: 5500/- (With CISS TK- 7200/-)
অধিক প্রিন্টের জন্য, ৯০% খরচ বাচাঁনোর জন্য এর মধ্যে CISS(Continue Ink Supply System) ব্যবহার করা যায়। যা Drum নামে বেশি প্রচলিত।
4. Canon MP-237(All in One)
অল ইন ওয়ান মানে প্রিন্ট, স্ক্যান, কপি করা যাবে একই প্রিন্টারে। MP-237 অসাধারন একটি প্রিন্টার। এর প্রধান কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলঃ
# Print, Scan & Copy
# Paper Size: A4/A5/LTR/LGL
# Resolution: 4800x1200dpi
# Speed: 7.0ipm Black & 4.8ipm Color
# Price: 6500/- (With CISS TK- 7800/-)
অধিক প্রিন্টের জন্য, ৯০% খরচ বাঁচানোর জন্য এর মধ্যে CISS(Continue Ink Supply System) ব্যবহার করা যায়। যা Drum নামে বেশি প্রচলিত।
5. HP DeskJet 1050(All in One)
অল ইন ওয়ান প্রিন্টার হিসেবে এর আকার ছোট। যার প্রিন্টিং পারফরমেন্স HP DeskJet 1000 এর মতই। আরো কিছু জানতে নিচে দেখুন।
# Print speed black:
ISO Laser comparable:Up to 5.5 ppm
Draft:Up to 16 ppm
# Print speed color:
ISO Laser comparable:Up to 4 ppm
Draft:Up to 12 ppm
# Duty cycle (monthly, A4)
Up to 1000 pages
# Resolution
Up to 4800 x 1200 dpi
# Flatbed Scanning
# Price: 4900/-
এর মধ্যে CISS(Continue Ink Supply System) ব্যবহার করা যায় না।
6. HP DeskJet 2515(All in One)
অল ইন ওয়ান প্রিন্টার হিসেবে এর আকার ছোট। যা HP DeskJet 1050 প্রিন্টারের কাছাকাছি। HP এর পক্ষ থেকে এই প্রিন্টারের থিম Ink Advantage: Quality Print up to 480pages at a low cost.
# Print, Scan & Copy
# Price: 5900/-
এর মধ্যে CISS(Continue Ink Supply System) ব্যবহার করা যায় না।

হোম ইউজারদের জন্য ৬০০০-৮২০০ টাকার Laser Jet প্রিন্টার
এই লেজারজেট প্রিন্টারগুলো শুধুমাত্র সাদাকালো।
1. Samsung ML-2165 Laser Jet
লেজার প্রিন্টারের মধ্যে দামে সাশ্রয়ী এই প্রিন্টারটি আকারে ছোট। ভালো মানের প্রিন্ট কোয়ালিটির নিশ্চয়তা দেয়।
# Speed up to 20ppm in A4
# Resolution up to 1200x1200dpi effective output
# Duty Cycle Monthly up to 10000pages
# Memory 8 MB
# Price: 6200/-
৬০% খরচ কমানোর জন্যে Compatible Toner পাওয়া যায়। ভালো মানের প্রিন্টিংয়ের জন্য অরিজিনাল টোনার ব্যবহার করাই ভালো।
2. Canon LBP 6000 Laser Jet
Canon-এর এই প্রিন্টারটি দামে সাশ্রয়ী এবং হ্যাভি ডিউটি প্রিন্টার। নিচে এর কিছু বৈশিষ্ট্য দেখুন।
# Speed up to 18/19ppm
# Resolution up to 2400eq dpi
# Paper Size: A4/LTR/LGL
# Memory 2MB
# Duty Cycle 5000 pages Monthly
# Price: 7200/-
৬০% খরচ কমানোর জন্যে Compatible Toner পাওয়া যায়। ভালো মানের প্রিন্টিংয়ের জন্য অরিজিনাল টোনার ব্যবহার করাই ভালো।
3. HP LaserJet 1102
বাজারে এই মডেলের প্রিন্টারটি যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। প্রিন্টিং কোয়ালিটি খুবই ভালো। নিচে আরো কিছু দেখুন।
# Speed up to 19ppm
# Resolution up to 1200dpi
# Duty Cycle up to 5000sheets
# Memory 8 MB
# Price: 8000/-
৬০% খরচ কমানোর জন্যে Compatible Toner পাওয়া যায়। ভালো মানের প্রিন্টিংয়ের জন্য অরিজিনাল টোনার ব্যবহার করাই ভালো।
হোম ইউজাররা এর বাইরেও আরো বেশি দামের InkJet এবং LaserJet প্রিন্টার কিনতে পারেন।
সবাই ভালো থাকুন।
নিজে জানুন, অন্যকে জানতে সাহায্য করুন।

spacer

মাতাসাগর মাহফিল

https://youtu.be/5IwrG54KJGY
spacer

আপনার PC কে করে তুলুন সুপার ফাস্ট ও কম্পিউটার ব্যাবহারের A To Z গাইড


কম্পিউটার ব্যাবহারের A To Z গাইড - আপনার কম্পিউটারকে করে তুলুন সুপার ফাস্ট

আসসালামু আলাইকুম।আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আজকে আপনাদের সম্মুখে নিয়ে এলাম অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও কাজের একটি টিউন।এটার মূল্য আপনি তখনি বুঝবেন যখন আপনি আমার দেয়া পুরো টিউনটি ধৈর্য ধরে পড়বেন এবং সম্পূর্ণরূপে ফলো করবেন।থাক আর আজাইরা কথা না বাড়িয়ে মূল টিউনে যাই।
কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা অংশ।এটা নিঃসন্দেহে আমাদের অনেক জটিল কাজকে সহজ করে দিয়েছে।কেউ কেউ আছেন যারা কম্পিউটার ছাড়া একদিনও চলতে পারবেন না আর এটাই আমাদের আধুনিক জেনারেশনের বাস্তবতা।প্রত্যেকদিন আমাদের বিভিন্ন রকম কাজকর্ম করতে হয়।কেউ আছেন প্রফেশনাল ব্লগার,কেউবা ফ্রিলান্সার,কেউবা ওয়েবসাইট ডিজাইন এর কাজ করেন আবার কেউবা প্রফেশনাল গেমার।এর মানে যারা কম্পিউটার ব্যাবহার করেন তাদের এসব কাজকর্মের ফলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়াটা অনেক স্বাভাবিক ব্যাপার।কিন্তু কিছু নিয়ম ফলো করলে আমাদের কম্পিউটারকে আমরা করে নিতে পারি নতুন কেনা পিসির মত সচল।আমি যা লেখছি তা যদি পুরোপুরি ফলো করতে পারেন তাহলে আপনার পিসি হয়ে উঠবে আপনার আগের সেই সচল পিসির মত।সো এখানেই মূল টিউন শুরু করলাম।
১।উইন্ডোজ সেটআপ দেওয়াঃমাইক্রোসফট বাজারে বিভিন্ন রকম উইন্ডোজ এনেছে।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-
*উইন্ডোজ ৮/৮.১
*উইন্ডোজ ৭
*উইন্ডোজ এক্সপি
*উইন্ডোজ ৯৮
*উইন্ডোজ ৯৫
এছাড়াও ম্যাক,লিনাক্সের মত নামিদামি অপারেটিং সিস্টেম তো আছেই।আমার সবদিক থেকে বিবেচনা করলে উইন্ডোজ ৮.১ চালিয়ে যে মজা পেয়েছি তা আর কোনটাতে পাইনি।কারো হয়তো অন্যটা পছন্দ।কারণ কার্যক্ষমতার দিক থেকে বিবেচনা করলে সিরিয়ালের নিচেরগুলো অনেক বেশি ফাস্ট।আমার মতে যারা হাই কনফিগারেসন পিসি ইউজ করেন তাদের জন্য উইন্ডোজ ৮.১/৮/৭ ভালো হবে।আর যারা লো কনফিগারেসন পিসি ইউজ করেন তাদের জন্য উইন্ডোজ ৭ কিংবা এক্সপি বেষ্ট হবে।আর উইন্ডোজ ইন্সটল এর পরে সর্বপ্রথম আপনার করনীয় হচ্ছে মাদারবোর্ডের ড্রাইভার ইন্সটল করা।উইন্ডোজ ৭/৮ এ অবশ্য ড্রাইভার সেটআপ দেয়ার সময়ই ইন্সটল হয়ে যায়।তাই আর আলাদা ড্রাইভার ইন্সটল করার প্রয়োজন হয় না।
২।যে সফটওয়্যার গুলো সেটআপের পরেই ইন্সটল করা বাধ্যতামূলকঃকিছু সফটওয়্যার আছে যেগুলো ছাড়া আমাদের পিসি অচল।তাই এগুলো সেটআপের পরেই ইন্সটল দিন।এরকম কিছু সফটওয়্যারের নাম নিচে দিলাম-
Rar,Zip,Iso ফাইল খোলা:
*Winrar(rar,zip,iso ফাইল খোলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে বেশি ইউজড সফটওয়্যার)
মালটিমিডিয়া প্লেয়ার:
*VLC Media Player
*KM Player/Pot Player
ব্রাউজিং:
*গুগল ক্রোম/মোজিলা(মোজিলার চেয়ে গুগল ক্রোম অনেক বেশি ফাস্ট।তবে অনেকের কাছেই মোজিলা বেশি ভালো লাগে।যার যার পার্সোনাল মতামত)
ডাউনলোড হেল্পারঃ
*ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার (আমাদের ডাউনলোডের নিত্যসঙ্গী)
*utorrent/Vuze(টরেন্ট ডাউনলোড যাদের নিত্যসঙ্গী)
ইবুক ও পিডিএফ ফাইল খোলাঃ
*Adobe/Foxit Reader(যারা ইবুক পরেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার।এ দুটার মধ্যে Foxit Reader আমাদের ব্যাবহার করা উচিত।কারণ এটা হার্ডডিস্কে কম জায়গা নেয় এবং Adobe Reader এর চেয়ে তুলনামুলকভাবে অনেক বেশি ফাস্ট)
*মাইক্রোসফট অফিস(যাদের নিয়মিত টাইপিং করতে হয়)
বাংলা টাইপিং:
*অভ্র/বিজয়(যার যেটা ভালো লাগে সেটা ইউজ করুন।অযথা দুইটা ইন্সটল করে কম্পিউটারে আবর্জনা বাড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই)
ভিডিও কনভার্টারঃ
*Iwisoft/Xillisoft Video Converter(এর মধ্যে আমি iwisoft কে বেশি পছন্দ করি।কারণ এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।তবে যারা হাই কনফিগারেশনের পিসি ইউজ করেন তাদের জন্য Xillisoft টা অনেক ভালো কাজ করবে।)
ফটো এডিটিং:
*Adobe Photoshop/Photoscape(দুইটাই ভালো।তবে আমি Photoscape কেই প্রেফার করি।কারণ এটি ফটোশপের চেয়ে অনেক কম জায়গা নেয়।তবে কারো যদি ফটোশপ ছাড়া না চলে সেক্ষেত্রে আমি ফটোশপের পোর্টেবল ভার্শন ব্যাবহার করতে বলব।)
*Adobe Flash Player
*Adobe Shockwave Player
*Java
*DirectX
৩।এন্টিভাইরাস ব্যাবহার করাঃএত বেশি এন্টিভাইরাস কোম্পানি আছে যে আমরা চিন্তায় পরে যাই যে কোন এন্টিভাইরাসটা ব্যাবহার করবো।তবে এটা নিয়ে এত মাথা না ঘামানোই ভালো।কারণ সব এন্টিভাইরাস কোম্পানিই ভাইরাস প্রতিরোধের জন্যই তাদের এন্টিভাইরাস বের করেছে বাজারে।হাই কনফিগারেশনের পিসির জন্য Bitdefender নাহলে Kaspersky বেষ্ট হবে।আর লো কনফিগারেশনের পিসির জন্য আপনি Avira কিংবা Avast এর ফ্রি হোম এডিশন এন্টিভাইরাসটি ব্যাবহার করতে পারেন।আর আলাদা এন্টিভাইরাস চালাতে না চালালে আপনি Advanced System Care এর Ultimate ভার্শনটি চালাতে পারেন।এটা নিয়ে আমি বিস্তারিত পরের টপিকেই লিখেছি।
8।Utility সফটওয়্যার ব্যাবহার করাঃবাজারে বিভিন্ন রকম ইউটিলিটি সফটওয়্যার আছে যেগুলো কম্পিউটার অনেক ফাস্ট করতে সক্ষম।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-
*Advanced System Optimizer
*Advanced System Care
*Auslogics Boostspeed
এগুলোর মধ্যে আমার প্রিয় হচ্ছে Auslogics Boostspeed।অন্যগুলোও পিসি অনেক ফাস্ট করে তবে এটা যেরকম ফাস্ট করতে পারে তা মনে হয়না বাজারের অন্য কোন সফটওয়্যার পারে।আমি নিজে ৫-৬ বছর ধরে কম্পিউটার চালাই এবং প্রায় সব ইউটিলিটি সফটওয়্যারই আমার ব্যাবহার করা শেষ।তবে এটার পারফরমেন্সে  আমি অনেক বেশি মুগ্ধ।এককথায় জটিল একটা সফটওয়্যার।তবে আপনি যদি আলাদা এন্টিভাইরাসের ধকল পোহাতে না চান তাহলে আপনি Advanced System Care এর Ultimate ভার্শন ব্যাবহার করতে পারেন।কারণ এ সফটওয়্যারটি Bitdefender Antivirus এর Built-ইন ইঞ্জিন ব্যাবহার করেছে।তাই আলাদা কোন এন্টিভাইরাসের একদমই কোন প্রয়োজন হবে না।আর এটিতে আরো অনেকগুলো ইউনিক ফিচার আছে।

আরো পরুন - কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর ৭ টি কার্যকর উপায় জেনে নিন

যেভাবে Advanced System care Ultimate অ্যাক্টিভ করবেন-
*প্রথমে Advanced Sysytem Care ও এর সকল টুলগুলো ফোল্ডার থেকে একের পর এক ইন্সটল করতে থাকুন।এরপর এটি অটোম্যাটিক চালু হবে।সফটওয়্যারটির ভেতরের অপশন থেকে এন্টিভাইরাসের ডাটাবেস আপডেট করে নিন।আপডেট শেষ হলে Real Time Protection আর সাইলেন্ট মোড অফ করে দিন নিচের ফটোর মত।তারপরে ভেতর থেকে Patch টি ওপেন করুন।Backup এ টিক মার্ক দিয়ে Patch বাটনে ক্লিক করুন।তারপর আপনার ইন্টারনেটের কানেকশনটি বন্ধ করে সফটওয়্যারটি ওপেন করে Manage License নামের অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।এরপর রিফ্রেশ বাটনে ক্লিক করে ভেতরে দেয়া সিরিয়াল নাম্বার বসাতে হবে।দেখবেন যে সফটওয়্যারটি ৩৬৫ দিনের জন্য অ্যাক্টিভ হয়ে গেছে।এরপর যে টুলগুলোর জন্য আমি সিরিয়াল কি দিয়েছি সেগুলো বসিয়ে দিয়ে টুলগুলো Pro ভার্শন করে নিন।আর বাকি টুলগুলো এমনিতেই ফ্রি।সো কাজ শেষ হয়ে গেলে ইন্টারনেটের কানেকশনটি অন করুন।আর Real Time Protection আর সাইলেন্ট মোডও অন করুন।




নিচে Advanced System Care Ultimate এর ফিচারগুলো একনজরে দেখে নিন-

Iobit Antivirus-এ অ্যান্টিভাইরাসটিতে Bitdefender Antivirus এর ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে যা আপনার কম্পিউটারকে সব রকম ভাইরাস থেকে প্রটেক্ট করবে।
Iobit Uninstaller-এটি রেজিস্ট্রিসহ যে কোন প্রোগ্রাম uninstall করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
Registry Cleaner-এটি কম্পিউটারে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় registry গুলো রিমুভ করতে সাহায্য করে।
Disk Cleaner-এটি আপনার কম্পিউটারের অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ডিলিট করে হার্ডড্রাইভ এর ফ্রী স্পেস বাড়াতে সহায়তা করবে।
File Shredder-এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যার সাহায্যে কোন ফাইল ডিলিট করলে তা আর রিকভার করতে পারবেন না।
Smart Ram-এ অপশনটির মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের Ram ক্লিয়ার করে এর কার্যদক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
Internet Booster-কম্পিউটারের বিভিন্ন কনফিগারেশন সেটিং করে ইন্টারনেট স্পীড বৃদ্ধি করবে।
Startup Manager-অনেক সময় কম্পিউটার চালু হবার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু প্রোগ্রাম চালু হয়ে যায়।এ সব প্রোগ্রাম থেকে নিস্তার পাবার অর্থাৎ এগুলো বন্ধ করবার টুল এটি।
Registry Defrag-কম্পিউটারের রেজিস্ট্রি Defrag করে স্পীড বৃদ্ধি করবে এটি।
Smart Defrag-এটি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় টুল।এটি পুরো কম্পিউটার Defrag করে। Defrag করার পরে আপনার কম্পিউটারের স্পীড অভাবনীয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে।
Game Booster-এই গেম বুস্টার টুলটি গেম খেলার সময় ওপেন করবেন।এটি আপনার কম্পিউটারের অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম বন্ধ করে দিবে।ফলে দারুন স্পীডে গেম খেলা যাবে।
Undelete-ফাইল রিকভার করার টুল এটি।ডিলিট করা অনেক ফাইল ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
Shortcut Fixer-ব্রোকেন শর্টকাট ফিক্স করে এটি।
Disk doctor-হার্ডড্রাইভ এর এরর চেক করে এবং পেলে তা সলভ করে।
Win Fx-এটি অপারেটিং সিস্টেম এর বিভিন্ন পরিচিত প্রবলেম গুলো সলভ করে।
IE helper-এটির মাধ্যমে Internet Explorer এর বিভিন্ন কনফিগারেশন ঠিক করতে পারবেন।
SysExplorer-আপনার কম্পিউটারকে স্লো করছে কি কি জিনিস তা জানার জন্য পুরো কম্পিউটারের সিস্টেম analysis করে।পরে তা রিপোর্ট আকারে প্রদান করে।
Process Manager-আপনার সিস্টেম এ কোনসব প্রোগ্রাম চলছে এবং কোনটার priority কেমন তা জানার টুল এটি। 


Driver Manager-এটি কম্পিউটার ড্রাইভার আপডেট ও ব্যাকআপ করতে ব্যবহার করা হয়।
Iobit Unlocker-আমাদের কম্পিউটারে এমন কিছু ফাইল আছে যা আমরা ডিলিট করতে পারি না।কারন ওইসব ফাইলগুলি অন্য রানিং প্রোগ্রাম use করে।ওই ফাইলগুলি আনলক করে ডিলিট করে এ টুলটি।
Auto Shutdown-শিডিউল ঠিক করে দিলে ঠিক সেই সময়ে আপনার কম্পিউটার বন্ধ করে এ টুলটি।
System Information- আপনার সিস্টেমের detail ইনফর্মেশন দেখায় এ টুলটি।
System Control- আপনার সিস্টেমের বিভিন্ন সেটিং কন্ট্রোল করতে পারবেন এ টুলটির মাধ্যমে।
Disk Explorer-কোন প্রোগ্রামটি আপনার হার্ডড্রাইভ এ কত স্পেস খাচ্ছে তা জানতে পারবেন।
Cloned Files Scanner-আপনার হার্ডড্রাইভের স্পেস নষ্ট করে এরকম কতগুলো duplicate ফাইল আছে তা খুজে বের করে এবং ডিলিট করে।
Empty Folder Scanner- আপনার হার্ডড্রাইভ এর খালি ফোল্ডারগুলো খুজে বের করে এবং ডিলিট করে।
Manage My Mobile-এটা দ্বারা আপনি আপনার Android ফোনের জাঙ্ক ফাইলগুলো ডিলেট ও মালওয়্যার রিমুভ করে আপনার ফোনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারবেন।
Programme Deactivator- এ টুলটি দিয়ে আপনি আপনার পিসিতে চলা যেকোনো রানিং প্রসেস বন্ধ করতে পারবেন।
Homepage Protection- মালওয়্যার অ্যাটাক করে যাতে আপনার হোমপেজের কোন পরিবর্তন যাতে না ঘটাতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখে এ টুলটি।
Start Menu 8- আপনি যেই অপারেটিং সিস্টেমই চালান না কেন আপনার পছন্দের স্টার্ট মেনুটি ফিরিয়ে আনবে এ টুলটি।
যেভাবে Advanced System Care ব্যাবহার করে পিসির সর্বোচ্চ পারফর্মেন্স পাবেন-
১।নিচের মত Care বাটনে ক্লিক করুন এবং Security Defence বাদে সবগুলোতে টিক মার্ক দিয়ে সিলেক্ট করুন।এরপরে স্ক্যান আর রিপেয়ার করুন।

২।এরপরে Turbo Boost এ ক্লিক করে Configure এ ক্লিক করুন।

৩।Game Mode সিলেক্ট করে Next এ ক্লিক করুন।

৪।তারপরে দেখুন কোন প্রসেসগুলো আপনার দরকার আর কোনটি দরকার না।যেগুলো দরকার না সেগুলোতে টিক মার্ক দিন এবং Next এ ক্লিক করুন।

৫।আপনি যদি চান তাহলে সফটওয়্যারটির পাওয়ার প্লান ব্যাবহার করতে পারেন।এরপরে “Turn On Turbo Boost At Startup” এ টিক দিয়ে Apply এ ক্লিক করুন।এ সফটওয়্যারের কাজ আপাতত এখানেই শেষ।আপনি চাইলে অন্যান্য যে টুলগুলো আছে সেগুলো ঘেঁটে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

যেভাবে Auslogics boostspeed অ্যাক্টিভ করবেন-
*ভেতরে rtl160.bpl নামের একটা ফাইল আছে Crack ফোল্ডারের মধ্যে।ওটা কপি করে C:\Program Files\Auslogics\BoostSpeed(যদি আপনি C: ড্রাইভে উইন্ডোজ ইন্সটল করে থাকেন)- এই লোকেশনের মধ্যে পেস্ট করে রিপ্লেস করুন।

যেভাবে Auslogics boostspeed ব্যাবহার করে পিসির সর্বোচ্চ পারফর্মেন্স পাবেন-
১।প্রথমে নিচের মত Scan All বাটনে ক্লিক করুন।

২।তারপরে এটি কিছুক্ষণ আপনার পিসির প্রবলেমগুলো খুজবে এবং খোজা শেষ হলে নিচের মত একটা ভিউ পাবেন।তখন Repair All বাটনে ক্লিক করুন।এটি নিজে নিজেই প্রবলেম সলভ করবে।

৩।এরপর নিচের মত System Stability তে ক্লিক করুন এবং আগের মত Scan এবং Repair করুন।

৪।নিচের ফটোর মত Disk Defrag এ ক্লিক করুন এবং ওখানে ডিফ্রাগ শুরু করুন।ডিফ্রাগ মোডে Defrag And Optimize এ ক্লিক করুন।


৫।ডিফ্রাগ শেষ হলে ঐ উইন্ডোটা বন্ধ করে আগের মেনুতে এসে Startup Manager এ ক্লিক করুন এবং যেসব প্রোগ্রামগুলো দরকারি না ঐগুলো Startup থেকে নিচের ফটোর মত একের পর এক ডিলেট করুন।

৬।এখন যেটা করবো সেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।Tweak Manager এ ক্লিক করুন।এরপর User Interface বাদে প্রত্যেকটা মেনুর সাবমেনুতে ক্লিক করুন এবং Optimize ও Apply এ ক্লিক করতে থাকুন।কাজ শেষ হলে উইন্ডোটা ক্লোজ করে বেরিয়ে আসুন।

৭।Registry Cleaner এ ক্লিক করে Scan And Repair এ ক্লিক করুন।এটি Automatically ব্যাড রেজিস্ট্রিগুলো খুজে বের করবে এবং ক্লিন করবে।

৮।এরপরে Registry Defrag এ ক্লিক করে Analyze বাটনে ক্লিক করুন।Analyze করা শেষ হয়ে গেলে তখন দুটি অপশন দেখতে পাবেন।ওখান থেকে Defrag On Next Computer Bootup এ ক্লিক করুন।তাহলে এটি পরেরবার পিসি অন হওয়ার সময় রেজিস্ট্রিগুলো ডিফ্রাগ করবে।উইন্ডোটা ক্লোজ করে দিন।

৯।মেইন মেনু থেকে সিরিয়ালের ৩ নম্বরে থাকা OS Management এ ক্লিক করুন।Internet Optimizer এ ক্লিক করে আপনার ইন্টারনেট কানেকশন যেটা সেটা অপশন থেকে সিলেক্ট করে Analyze বাটনে ক্লিক করুন।এটাতে ক্লিক করার আগে সব ব্রাউজার ও ডাউনলোড বন্ধ করে দিন।Analyze শেষ হয়ে গেলে Optimize এ ক্লিক করুন।এ সফটওয়্যারের কাজ আপাতত এখানেই শেষ।তারপরেও যারা আগ্রহী তারা বাকি টুলগুলো ওপেন করে ব্যাবহার করে দেখতে পারেন।

৫।পিসি নিয়মিত ডিফ্রাগ করাঃ এটা কম্পিউটার এর পারফরমেন্স বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ দুইটি ধাপ।আমার মতে পিসি প্রতি ২-৩ দিন পরপরই ডিফ্রাগ করা উচিত।কারণ ডিফ্রাগের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটার এর ভেতরের যেসব আউলাঝাউলা ফাইলগুলা আছে সেগুলা সুসজ্জিত হয়।এর ফলে হার্ডডিস্ক এর ভেতরের ফাইলগুলোকে খুব তারাতারি রিড করতে পারে।ফলে পিসি হয়ে যায় সুপার ফাস্ট।উপরে আমি যে ইউটিলিটি সফটওয়্যারগুলোর কথা বললাম ওগুলোর মধ্যেও নিজস্ব ডিফ্রাগ সফটওয়্যার আছে।তবে আমি ওগুলোর পাশাপাশি আরো একটি সফটওয়্যার ব্যাবহার করতে বলব।সেটি হচ্ছে
*Ashampoo HDD Control
এটার কাজ মূলত হার্ডডিস্কের প্রবলেম সলভ করা।কিন্তু এটিতে একটা Built-In ডিফ্রাগার আছে যেটা অন্য যে কোন ডিফ্রাগ সফটওয়্যারের চেয়ে অনেকগুন ভালো।এছাড়া সফটওয়্যারটি হার্ডডিস্ক রিলেটেড বিভিন্ন ইনফরমেশন দেখায়।
যেভাবে সফটওয়্যারটি অ্যাক্টিভ করবেন-
*প্রথমে সফটওয়্যারটি ইন্সটল করুন।ইন্সটল ঠিকমতো শেষ হলে সফটওয়্যারটি ওপেন করবেন না।ভেতরে Registration.reg নামের যে ফাইলটি আছে ওইটা ডাবল ক্লিক করে ওপেন করুন এবং তারপরে Yes বাটনে ক্লিক করে বেরিয়ে আসুন।

যেভাবে সফটওয়্যারটি ইউজ করবেন-
১।প্রথমে সফটওয়্যারটি ওপেন করার পরে  একটা সিম্পল ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।এখানে আপনার হার্ডডিস্কের সব বেসিক ইনফরমেশন যেমন হার্ডডিস্কের হেলথ,পারফরমেন্স ও তাপমাত্রা দেখতে পাবেন।নিচের মত Defrag এ ক্লিক করুন।এরপরে নিচের স্ক্রিনশটের মত ড্রাইভগুলো সিলেক্ট করে Intellingent Defragmentation মোড এ ডিফ্রাগ করুন।এর পাশাপাশি Proactive Defrag Active করে দিন।যার মাধ্যমে এটি হিডেন মোডে থেকে আপনার কম্পিউটারকে ডিফ্রাগ করতে থাকবে।এ সফটওয়্যারে আর কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ নেই।


৬।রেজিস্ট্রি রিমুভ করাঃ রেজিস্ট্রি হচ্ছে উইন্ডোজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট।এর মধ্যেই পিসির সব ইনফরমেশন জমা থাকে।যখন আপনি কোন সফটওয়্যার/ড্রাইভার ইন্সটল/আনইন্সটল করেন তখন রেজিস্ট্রিতে বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন ঘটে।ফলে আপনার কম্পিউটারের বুট-আপ স্লো হয়ে যায় এবং ভিতরের বিভিন্ন প্রোগ্রামের চালু হওয়াটাও স্লো হয়ে যায়।তাই আমি ইউটিলিটি সফটওয়্যার এর রেজিস্ট্রির পাশাপাশি আলাদা একটি সফটওয়্যার ইউজ করতে বলব।কারণ এটি আপনার কম্পিউটারের রেজিস্ট্রির খুঁটিনাটির কেয়ার করবে।ফলে কম্পিউটারও হবে অনেক ফাস্ট।সফটওয়্যারটি হচ্ছে-
*Reviversoft Registry Reviver
যেভাবে সফটওয়্যারটি অ্যাক্টিভ করবেন-
*ভেতরে Cracked ফোল্ডার থেকে আপনার অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী(৩২ বিট হলে x86 এর ফাইলটি আর ৬৪ বিট হলে  x64 এর ফাইলটি কপি করুন।)ফাইলটি কপি করে C:\Program Files\ReviverSoft\Registry Reviver(যদি আপনি C: ড্রাইভে উইন্ডোজ ইন্সটল করে থাকেন)-এর মধ্যে পেস্ট এবং রিপ্লেস করুন।

যেভাবে সফটওয়্যারটি ইউজ করবেন-
প্রথমে সফটওয়্যারটি ওপেন করুন।নিচের মত একটা ইন্টারফেস পাবেন।ওখানে অপরে Scan এ ক্লিক করে যতগুলি অপশন আছে সবগুলিতে টিক মার্ক দিয়ে দিন।এরপরে Begin Error Scan এ ক্লিক করুন।এরপর স্ক্যান শেষ হয়ে গেলে সবগুলি এরর সিলেক্ট করে Repair Selected Errors এ ক্লিক করুন।


৭।ল্যাপটপ/নেটবুক এর ব্যাটারির যত্ন নেয়াঃ ব্যাটারি হচ্ছে ল্যাপটপ/নেটবুক এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট।মূলত এই ব্যাটারির সাথে ল্যাপটপের অন্য কম্পোনেন্টগুলোর যোগসুত্র আছে।তাই একটি নষ্ট হলে আরেকটি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে।তাই ল্যাপটপের ব্যাটারির যত্ন নিতে হবে।ল্যাপটপ যদি আপনি ১/২ মাসের জন্য বন্ধ রাখেন তাহলে এর ব্যাটারিটা খুলে রাখবেন।আর প্রথমবার ল্যাপটপ কেনার পরই ল্যাপটপ বন্ধ করে ফুল চার্জ দিবেন।এতে ব্যাটারিটা ভালো থাকবে।আর অনেকে আছেন যারা ল্যাপটপের চার্জ শেষ হয়ে যাবে এই ভয়ে সারাক্ষণ এতে চার্জ দিয়ে রাখেন।এতে ল্যাপটপের ব্যাটারির পাশাপাশি হার্ডডিস্কও নষ্ট হতে পারে।তাই এটা কখনই করা উচিৎ না।ল্যাপটপের ব্যাটারির কেয়ারের জন্য ফ্রি অনেক সফটওয়্যার আছে।আমি আপনাদের একটা দিলাম।ব্যাবহার করে দেখেন কেমন লাগে।
Battery Optimizer
আমার পার্সোনাল মতামতঃ
১।পিসি ডেস্কটপে সবসময় কম শর্টকাট রাখার চেষ্টা করবেন।আর যদি বেশি বেশি সফটওয়্যার ইন্সটল দেয়ার ফলে অনেক শর্টকাট ডেস্কটপে এসেই পরে সেক্ষেত্রে একটা ফোল্ডার বানান।যে প্রোগ্রামগুলো সচরাচর ইউজ করবেন সেটা ডেস্কটপে রাখুন আর যেগুলো মাঝে মাঝে করবেন সেগুলো ঐ ফোল্ডারের মধ্যে রাখুন।
২।অনেককেই দেখা যায় টাস্কবারে ৪/৫টা অ্যাপ্লিকেশন পিন করে রেখেছেন।এটা করা উচিত নয়।কারণ এগুলো প্রচুর মেমোরি খায়।আর যদি আপনার কম্পিউটার লো কনফিগারেশনের হয়ে থাকে তাইলে তো বেহাল অবস্থা হয়ে যাবে।
spacer

আপনার PC কে করে তুলুন সুপার ফাস্ট ও কম্পিউটার ব্যাবহারের A To Z গাইড


কম্পিউটার ব্যাবহারের A To Z গাইড - আপনার কম্পিউটারকে করে তুলুন সুপার ফাস্ট

আসসালামু আলাইকুম।আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আজকে আপনাদের সম্মুখে নিয়ে এলাম অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও কাজের একটি টিউন।এটার মূল্য আপনি তখনি বুঝবেন যখন আপনি আমার দেয়া পুরো টিউনটি ধৈর্য ধরে পড়বেন এবং সম্পূর্ণরূপে ফলো করবেন।থাক আর আজাইরা কথা না বাড়িয়ে মূল টিউনে যাই।
কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা অংশ।এটা নিঃসন্দেহে আমাদের অনেক জটিল কাজকে সহজ করে দিয়েছে।কেউ কেউ আছেন যারা কম্পিউটার ছাড়া একদিনও চলতে পারবেন না আর এটাই আমাদের আধুনিক জেনারেশনের বাস্তবতা।প্রত্যেকদিন আমাদের বিভিন্ন রকম কাজকর্ম করতে হয়।কেউ আছেন প্রফেশনাল ব্লগার,কেউবা ফ্রিলান্সার,কেউবা ওয়েবসাইট ডিজাইন এর কাজ করেন আবার কেউবা প্রফেশনাল গেমার।এর মানে যারা কম্পিউটার ব্যাবহার করেন তাদের এসব কাজকর্মের ফলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়াটা অনেক স্বাভাবিক ব্যাপার।কিন্তু কিছু নিয়ম ফলো করলে আমাদের কম্পিউটারকে আমরা করে নিতে পারি নতুন কেনা পিসির মত সচল।আমি যা লেখছি তা যদি পুরোপুরি ফলো করতে পারেন তাহলে আপনার পিসি হয়ে উঠবে আপনার আগের সেই সচল পিসির মত।সো এখানেই মূল টিউন শুরু করলাম।
১।উইন্ডোজ সেটআপ দেওয়াঃমাইক্রোসফট বাজারে বিভিন্ন রকম উইন্ডোজ এনেছে।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-
*উইন্ডোজ ৮/৮.১
*উইন্ডোজ ৭
*উইন্ডোজ এক্সপি
*উইন্ডোজ ৯৮
*উইন্ডোজ ৯৫
এছাড়াও ম্যাক,লিনাক্সের মত নামিদামি অপারেটিং সিস্টেম তো আছেই।আমার সবদিক থেকে বিবেচনা করলে উইন্ডোজ ৮.১ চালিয়ে যে মজা পেয়েছি তা আর কোনটাতে পাইনি।কারো হয়তো অন্যটা পছন্দ।কারণ কার্যক্ষমতার দিক থেকে বিবেচনা করলে সিরিয়ালের নিচেরগুলো অনেক বেশি ফাস্ট।আমার মতে যারা হাই কনফিগারেসন পিসি ইউজ করেন তাদের জন্য উইন্ডোজ ৮.১/৮/৭ ভালো হবে।আর যারা লো কনফিগারেসন পিসি ইউজ করেন তাদের জন্য উইন্ডোজ ৭ কিংবা এক্সপি বেষ্ট হবে।আর উইন্ডোজ ইন্সটল এর পরে সর্বপ্রথম আপনার করনীয় হচ্ছে মাদারবোর্ডের ড্রাইভার ইন্সটল করা।উইন্ডোজ ৭/৮ এ অবশ্য ড্রাইভার সেটআপ দেয়ার সময়ই ইন্সটল হয়ে যায়।তাই আর আলাদা ড্রাইভার ইন্সটল করার প্রয়োজন হয় না।
২।যে সফটওয়্যার গুলো সেটআপের পরেই ইন্সটল করা বাধ্যতামূলকঃকিছু সফটওয়্যার আছে যেগুলো ছাড়া আমাদের পিসি অচল।তাই এগুলো সেটআপের পরেই ইন্সটল দিন।এরকম কিছু সফটওয়্যারের নাম নিচে দিলাম-
Rar,Zip,Iso ফাইল খোলা:
*Winrar(rar,zip,iso ফাইল খোলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে বেশি ইউজড সফটওয়্যার)
মালটিমিডিয়া প্লেয়ার:
*VLC Media Player
*KM Player/Pot Player
ব্রাউজিং:
*গুগল ক্রোম/মোজিলা(মোজিলার চেয়ে গুগল ক্রোম অনেক বেশি ফাস্ট।তবে অনেকের কাছেই মোজিলা বেশি ভালো লাগে।যার যার পার্সোনাল মতামত)
ডাউনলোড হেল্পারঃ
*ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার (আমাদের ডাউনলোডের নিত্যসঙ্গী)
*utorrent/Vuze(টরেন্ট ডাউনলোড যাদের নিত্যসঙ্গী)
ইবুক ও পিডিএফ ফাইল খোলাঃ
*Adobe/Foxit Reader(যারা ইবুক পরেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার।এ দুটার মধ্যে Foxit Reader আমাদের ব্যাবহার করা উচিত।কারণ এটা হার্ডডিস্কে কম জায়গা নেয় এবং Adobe Reader এর চেয়ে তুলনামুলকভাবে অনেক বেশি ফাস্ট)
*মাইক্রোসফট অফিস(যাদের নিয়মিত টাইপিং করতে হয়)
বাংলা টাইপিং:
*অভ্র/বিজয়(যার যেটা ভালো লাগে সেটা ইউজ করুন।অযথা দুইটা ইন্সটল করে কম্পিউটারে আবর্জনা বাড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই)
ভিডিও কনভার্টারঃ
*Iwisoft/Xillisoft Video Converter(এর মধ্যে আমি iwisoft কে বেশি পছন্দ করি।কারণ এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।তবে যারা হাই কনফিগারেশনের পিসি ইউজ করেন তাদের জন্য Xillisoft টা অনেক ভালো কাজ করবে।)
ফটো এডিটিং:
*Adobe Photoshop/Photoscape(দুইটাই ভালো।তবে আমি Photoscape কেই প্রেফার করি।কারণ এটি ফটোশপের চেয়ে অনেক কম জায়গা নেয়।তবে কারো যদি ফটোশপ ছাড়া না চলে সেক্ষেত্রে আমি ফটোশপের পোর্টেবল ভার্শন ব্যাবহার করতে বলব।)
*Adobe Flash Player
*Adobe Shockwave Player
*Java
*DirectX
৩।এন্টিভাইরাস ব্যাবহার করাঃএত বেশি এন্টিভাইরাস কোম্পানি আছে যে আমরা চিন্তায় পরে যাই যে কোন এন্টিভাইরাসটা ব্যাবহার করবো।তবে এটা নিয়ে এত মাথা না ঘামানোই ভালো।কারণ সব এন্টিভাইরাস কোম্পানিই ভাইরাস প্রতিরোধের জন্যই তাদের এন্টিভাইরাস বের করেছে বাজারে।হাই কনফিগারেশনের পিসির জন্য Bitdefender নাহলে Kaspersky বেষ্ট হবে।আর লো কনফিগারেশনের পিসির জন্য আপনি Avira কিংবা Avast এর ফ্রি হোম এডিশন এন্টিভাইরাসটি ব্যাবহার করতে পারেন।আর আলাদা এন্টিভাইরাস চালাতে না চালালে আপনি Advanced System Care এর Ultimate ভার্শনটি চালাতে পারেন।এটা নিয়ে আমি বিস্তারিত পরের টপিকেই লিখেছি।
8।Utility সফটওয়্যার ব্যাবহার করাঃবাজারে বিভিন্ন রকম ইউটিলিটি সফটওয়্যার আছে যেগুলো কম্পিউটার অনেক ফাস্ট করতে সক্ষম।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-
*Advanced System Optimizer
*Advanced System Care
*Auslogics Boostspeed
এগুলোর মধ্যে আমার প্রিয় হচ্ছে Auslogics Boostspeed।অন্যগুলোও পিসি অনেক ফাস্ট করে তবে এটা যেরকম ফাস্ট করতে পারে তা মনে হয়না বাজারের অন্য কোন সফটওয়্যার পারে।আমি নিজে ৫-৬ বছর ধরে কম্পিউটার চালাই এবং প্রায় সব ইউটিলিটি সফটওয়্যারই আমার ব্যাবহার করা শেষ।তবে এটার পারফরমেন্সে  আমি অনেক বেশি মুগ্ধ।এককথায় জটিল একটা সফটওয়্যার।তবে আপনি যদি আলাদা এন্টিভাইরাসের ধকল পোহাতে না চান তাহলে আপনি Advanced System Care এর Ultimate ভার্শন ব্যাবহার করতে পারেন।কারণ এ সফটওয়্যারটি Bitdefender Antivirus এর Built-ইন ইঞ্জিন ব্যাবহার করেছে।তাই আলাদা কোন এন্টিভাইরাসের একদমই কোন প্রয়োজন হবে না।আর এটিতে আরো অনেকগুলো ইউনিক ফিচার আছে।

আরো পরুন - কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর ৭ টি কার্যকর উপায় জেনে নিন

যেভাবে Advanced System care Ultimate অ্যাক্টিভ করবেন-
*প্রথমে Advanced Sysytem Care ও এর সকল টুলগুলো ফোল্ডার থেকে একের পর এক ইন্সটল করতে থাকুন।এরপর এটি অটোম্যাটিক চালু হবে।সফটওয়্যারটির ভেতরের অপশন থেকে এন্টিভাইরাসের ডাটাবেস আপডেট করে নিন।আপডেট শেষ হলে Real Time Protection আর সাইলেন্ট মোড অফ করে দিন নিচের ফটোর মত।তারপরে ভেতর থেকে Patch টি ওপেন করুন।Backup এ টিক মার্ক দিয়ে Patch বাটনে ক্লিক করুন।তারপর আপনার ইন্টারনেটের কানেকশনটি বন্ধ করে সফটওয়্যারটি ওপেন করে Manage License নামের অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।এরপর রিফ্রেশ বাটনে ক্লিক করে ভেতরে দেয়া সিরিয়াল নাম্বার বসাতে হবে।দেখবেন যে সফটওয়্যারটি ৩৬৫ দিনের জন্য অ্যাক্টিভ হয়ে গেছে।এরপর যে টুলগুলোর জন্য আমি সিরিয়াল কি দিয়েছি সেগুলো বসিয়ে দিয়ে টুলগুলো Pro ভার্শন করে নিন।আর বাকি টুলগুলো এমনিতেই ফ্রি।সো কাজ শেষ হয়ে গেলে ইন্টারনেটের কানেকশনটি অন করুন।আর Real Time Protection আর সাইলেন্ট মোডও অন করুন।




নিচে Advanced System Care Ultimate এর ফিচারগুলো একনজরে দেখে নিন-

Iobit Antivirus-এ অ্যান্টিভাইরাসটিতে Bitdefender Antivirus এর ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে যা আপনার কম্পিউটারকে সব রকম ভাইরাস থেকে প্রটেক্ট করবে।
Iobit Uninstaller-এটি রেজিস্ট্রিসহ যে কোন প্রোগ্রাম uninstall করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
Registry Cleaner-এটি কম্পিউটারে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় registry গুলো রিমুভ করতে সাহায্য করে।
Disk Cleaner-এটি আপনার কম্পিউটারের অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ডিলিট করে হার্ডড্রাইভ এর ফ্রী স্পেস বাড়াতে সহায়তা করবে।
File Shredder-এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যার সাহায্যে কোন ফাইল ডিলিট করলে তা আর রিকভার করতে পারবেন না।
Smart Ram-এ অপশনটির মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের Ram ক্লিয়ার করে এর কার্যদক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
Internet Booster-কম্পিউটারের বিভিন্ন কনফিগারেশন সেটিং করে ইন্টারনেট স্পীড বৃদ্ধি করবে।
Startup Manager-অনেক সময় কম্পিউটার চালু হবার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু প্রোগ্রাম চালু হয়ে যায়।এ সব প্রোগ্রাম থেকে নিস্তার পাবার অর্থাৎ এগুলো বন্ধ করবার টুল এটি।
Registry Defrag-কম্পিউটারের রেজিস্ট্রি Defrag করে স্পীড বৃদ্ধি করবে এটি।
Smart Defrag-এটি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় টুল।এটি পুরো কম্পিউটার Defrag করে। Defrag করার পরে আপনার কম্পিউটারের স্পীড অভাবনীয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে।
Game Booster-এই গেম বুস্টার টুলটি গেম খেলার সময় ওপেন করবেন।এটি আপনার কম্পিউটারের অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম বন্ধ করে দিবে।ফলে দারুন স্পীডে গেম খেলা যাবে।
Undelete-ফাইল রিকভার করার টুল এটি।ডিলিট করা অনেক ফাইল ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
Shortcut Fixer-ব্রোকেন শর্টকাট ফিক্স করে এটি।
Disk doctor-হার্ডড্রাইভ এর এরর চেক করে এবং পেলে তা সলভ করে।
Win Fx-এটি অপারেটিং সিস্টেম এর বিভিন্ন পরিচিত প্রবলেম গুলো সলভ করে।
IE helper-এটির মাধ্যমে Internet Explorer এর বিভিন্ন কনফিগারেশন ঠিক করতে পারবেন।
SysExplorer-আপনার কম্পিউটারকে স্লো করছে কি কি জিনিস তা জানার জন্য পুরো কম্পিউটারের সিস্টেম analysis করে।পরে তা রিপোর্ট আকারে প্রদান করে।
Process Manager-আপনার সিস্টেম এ কোনসব প্রোগ্রাম চলছে এবং কোনটার priority কেমন তা জানার টুল এটি। 


Driver Manager-এটি কম্পিউটার ড্রাইভার আপডেট ও ব্যাকআপ করতে ব্যবহার করা হয়।
Iobit Unlocker-আমাদের কম্পিউটারে এমন কিছু ফাইল আছে যা আমরা ডিলিট করতে পারি না।কারন ওইসব ফাইলগুলি অন্য রানিং প্রোগ্রাম use করে।ওই ফাইলগুলি আনলক করে ডিলিট করে এ টুলটি।
Auto Shutdown-শিডিউল ঠিক করে দিলে ঠিক সেই সময়ে আপনার কম্পিউটার বন্ধ করে এ টুলটি।
System Information- আপনার সিস্টেমের detail ইনফর্মেশন দেখায় এ টুলটি।
System Control- আপনার সিস্টেমের বিভিন্ন সেটিং কন্ট্রোল করতে পারবেন এ টুলটির মাধ্যমে।
Disk Explorer-কোন প্রোগ্রামটি আপনার হার্ডড্রাইভ এ কত স্পেস খাচ্ছে তা জানতে পারবেন।
Cloned Files Scanner-আপনার হার্ডড্রাইভের স্পেস নষ্ট করে এরকম কতগুলো duplicate ফাইল আছে তা খুজে বের করে এবং ডিলিট করে।
Empty Folder Scanner- আপনার হার্ডড্রাইভ এর খালি ফোল্ডারগুলো খুজে বের করে এবং ডিলিট করে।
Manage My Mobile-এটা দ্বারা আপনি আপনার Android ফোনের জাঙ্ক ফাইলগুলো ডিলেট ও মালওয়্যার রিমুভ করে আপনার ফোনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারবেন।
Programme Deactivator- এ টুলটি দিয়ে আপনি আপনার পিসিতে চলা যেকোনো রানিং প্রসেস বন্ধ করতে পারবেন।
Homepage Protection- মালওয়্যার অ্যাটাক করে যাতে আপনার হোমপেজের কোন পরিবর্তন যাতে না ঘটাতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখে এ টুলটি।
Start Menu 8- আপনি যেই অপারেটিং সিস্টেমই চালান না কেন আপনার পছন্দের স্টার্ট মেনুটি ফিরিয়ে আনবে এ টুলটি।
যেভাবে Advanced System Care ব্যাবহার করে পিসির সর্বোচ্চ পারফর্মেন্স পাবেন-
১।নিচের মত Care বাটনে ক্লিক করুন এবং Security Defence বাদে সবগুলোতে টিক মার্ক দিয়ে সিলেক্ট করুন।এরপরে স্ক্যান আর রিপেয়ার করুন।

২।এরপরে Turbo Boost এ ক্লিক করে Configure এ ক্লিক করুন।

৩।Game Mode সিলেক্ট করে Next এ ক্লিক করুন।

৪।তারপরে দেখুন কোন প্রসেসগুলো আপনার দরকার আর কোনটি দরকার না।যেগুলো দরকার না সেগুলোতে টিক মার্ক দিন এবং Next এ ক্লিক করুন।

৫।আপনি যদি চান তাহলে সফটওয়্যারটির পাওয়ার প্লান ব্যাবহার করতে পারেন।এরপরে “Turn On Turbo Boost At Startup” এ টিক দিয়ে Apply এ ক্লিক করুন।এ সফটওয়্যারের কাজ আপাতত এখানেই শেষ।আপনি চাইলে অন্যান্য যে টুলগুলো আছে সেগুলো ঘেঁটে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

যেভাবে Auslogics boostspeed অ্যাক্টিভ করবেন-
*ভেতরে rtl160.bpl নামের একটা ফাইল আছে Crack ফোল্ডারের মধ্যে।ওটা কপি করে C:\Program Files\Auslogics\BoostSpeed(যদি আপনি C: ড্রাইভে উইন্ডোজ ইন্সটল করে থাকেন)- এই লোকেশনের মধ্যে পেস্ট করে রিপ্লেস করুন।

যেভাবে Auslogics boostspeed ব্যাবহার করে পিসির সর্বোচ্চ পারফর্মেন্স পাবেন-
১।প্রথমে নিচের মত Scan All বাটনে ক্লিক করুন।

২।তারপরে এটি কিছুক্ষণ আপনার পিসির প্রবলেমগুলো খুজবে এবং খোজা শেষ হলে নিচের মত একটা ভিউ পাবেন।তখন Repair All বাটনে ক্লিক করুন।এটি নিজে নিজেই প্রবলেম সলভ করবে।

৩।এরপর নিচের মত System Stability তে ক্লিক করুন এবং আগের মত Scan এবং Repair করুন।

৪।নিচের ফটোর মত Disk Defrag এ ক্লিক করুন এবং ওখানে ডিফ্রাগ শুরু করুন।ডিফ্রাগ মোডে Defrag And Optimize এ ক্লিক করুন।


৫।ডিফ্রাগ শেষ হলে ঐ উইন্ডোটা বন্ধ করে আগের মেনুতে এসে Startup Manager এ ক্লিক করুন এবং যেসব প্রোগ্রামগুলো দরকারি না ঐগুলো Startup থেকে নিচের ফটোর মত একের পর এক ডিলেট করুন।

৬।এখন যেটা করবো সেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।Tweak Manager এ ক্লিক করুন।এরপর User Interface বাদে প্রত্যেকটা মেনুর সাবমেনুতে ক্লিক করুন এবং Optimize ও Apply এ ক্লিক করতে থাকুন।কাজ শেষ হলে উইন্ডোটা ক্লোজ করে বেরিয়ে আসুন।

৭।Registry Cleaner এ ক্লিক করে Scan And Repair এ ক্লিক করুন।এটি Automatically ব্যাড রেজিস্ট্রিগুলো খুজে বের করবে এবং ক্লিন করবে।

৮।এরপরে Registry Defrag এ ক্লিক করে Analyze বাটনে ক্লিক করুন।Analyze করা শেষ হয়ে গেলে তখন দুটি অপশন দেখতে পাবেন।ওখান থেকে Defrag On Next Computer Bootup এ ক্লিক করুন।তাহলে এটি পরেরবার পিসি অন হওয়ার সময় রেজিস্ট্রিগুলো ডিফ্রাগ করবে।উইন্ডোটা ক্লোজ করে দিন।

৯।মেইন মেনু থেকে সিরিয়ালের ৩ নম্বরে থাকা OS Management এ ক্লিক করুন।Internet Optimizer এ ক্লিক করে আপনার ইন্টারনেট কানেকশন যেটা সেটা অপশন থেকে সিলেক্ট করে Analyze বাটনে ক্লিক করুন।এটাতে ক্লিক করার আগে সব ব্রাউজার ও ডাউনলোড বন্ধ করে দিন।Analyze শেষ হয়ে গেলে Optimize এ ক্লিক করুন।এ সফটওয়্যারের কাজ আপাতত এখানেই শেষ।তারপরেও যারা আগ্রহী তারা বাকি টুলগুলো ওপেন করে ব্যাবহার করে দেখতে পারেন।

৫।পিসি নিয়মিত ডিফ্রাগ করাঃ এটা কম্পিউটার এর পারফরমেন্স বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ দুইটি ধাপ।আমার মতে পিসি প্রতি ২-৩ দিন পরপরই ডিফ্রাগ করা উচিত।কারণ ডিফ্রাগের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটার এর ভেতরের যেসব আউলাঝাউলা ফাইলগুলা আছে সেগুলা সুসজ্জিত হয়।এর ফলে হার্ডডিস্ক এর ভেতরের ফাইলগুলোকে খুব তারাতারি রিড করতে পারে।ফলে পিসি হয়ে যায় সুপার ফাস্ট।উপরে আমি যে ইউটিলিটি সফটওয়্যারগুলোর কথা বললাম ওগুলোর মধ্যেও নিজস্ব ডিফ্রাগ সফটওয়্যার আছে।তবে আমি ওগুলোর পাশাপাশি আরো একটি সফটওয়্যার ব্যাবহার করতে বলব।সেটি হচ্ছে
*Ashampoo HDD Control
এটার কাজ মূলত হার্ডডিস্কের প্রবলেম সলভ করা।কিন্তু এটিতে একটা Built-In ডিফ্রাগার আছে যেটা অন্য যে কোন ডিফ্রাগ সফটওয়্যারের চেয়ে অনেকগুন ভালো।এছাড়া সফটওয়্যারটি হার্ডডিস্ক রিলেটেড বিভিন্ন ইনফরমেশন দেখায়।
যেভাবে সফটওয়্যারটি অ্যাক্টিভ করবেন-
*প্রথমে সফটওয়্যারটি ইন্সটল করুন।ইন্সটল ঠিকমতো শেষ হলে সফটওয়্যারটি ওপেন করবেন না।ভেতরে Registration.reg নামের যে ফাইলটি আছে ওইটা ডাবল ক্লিক করে ওপেন করুন এবং তারপরে Yes বাটনে ক্লিক করে বেরিয়ে আসুন।

যেভাবে সফটওয়্যারটি ইউজ করবেন-
১।প্রথমে সফটওয়্যারটি ওপেন করার পরে  একটা সিম্পল ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।এখানে আপনার হার্ডডিস্কের সব বেসিক ইনফরমেশন যেমন হার্ডডিস্কের হেলথ,পারফরমেন্স ও তাপমাত্রা দেখতে পাবেন।নিচের মত Defrag এ ক্লিক করুন।এরপরে নিচের স্ক্রিনশটের মত ড্রাইভগুলো সিলেক্ট করে Intellingent Defragmentation মোড এ ডিফ্রাগ করুন।এর পাশাপাশি Proactive Defrag Active করে দিন।যার মাধ্যমে এটি হিডেন মোডে থেকে আপনার কম্পিউটারকে ডিফ্রাগ করতে থাকবে।এ সফটওয়্যারে আর কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ নেই।


৬।রেজিস্ট্রি রিমুভ করাঃ রেজিস্ট্রি হচ্ছে উইন্ডোজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট।এর মধ্যেই পিসির সব ইনফরমেশন জমা থাকে।যখন আপনি কোন সফটওয়্যার/ড্রাইভার ইন্সটল/আনইন্সটল করেন তখন রেজিস্ট্রিতে বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন ঘটে।ফলে আপনার কম্পিউটারের বুট-আপ স্লো হয়ে যায় এবং ভিতরের বিভিন্ন প্রোগ্রামের চালু হওয়াটাও স্লো হয়ে যায়।তাই আমি ইউটিলিটি সফটওয়্যার এর রেজিস্ট্রির পাশাপাশি আলাদা একটি সফটওয়্যার ইউজ করতে বলব।কারণ এটি আপনার কম্পিউটারের রেজিস্ট্রির খুঁটিনাটির কেয়ার করবে।ফলে কম্পিউটারও হবে অনেক ফাস্ট।সফটওয়্যারটি হচ্ছে-
*Reviversoft Registry Reviver
যেভাবে সফটওয়্যারটি অ্যাক্টিভ করবেন-
*ভেতরে Cracked ফোল্ডার থেকে আপনার অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী(৩২ বিট হলে x86 এর ফাইলটি আর ৬৪ বিট হলে  x64 এর ফাইলটি কপি করুন।)ফাইলটি কপি করে C:\Program Files\ReviverSoft\Registry Reviver(যদি আপনি C: ড্রাইভে উইন্ডোজ ইন্সটল করে থাকেন)-এর মধ্যে পেস্ট এবং রিপ্লেস করুন।

যেভাবে সফটওয়্যারটি ইউজ করবেন-
প্রথমে সফটওয়্যারটি ওপেন করুন।নিচের মত একটা ইন্টারফেস পাবেন।ওখানে অপরে Scan এ ক্লিক করে যতগুলি অপশন আছে সবগুলিতে টিক মার্ক দিয়ে দিন।এরপরে Begin Error Scan এ ক্লিক করুন।এরপর স্ক্যান শেষ হয়ে গেলে সবগুলি এরর সিলেক্ট করে Repair Selected Errors এ ক্লিক করুন।


৭।ল্যাপটপ/নেটবুক এর ব্যাটারির যত্ন নেয়াঃ ব্যাটারি হচ্ছে ল্যাপটপ/নেটবুক এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট।মূলত এই ব্যাটারির সাথে ল্যাপটপের অন্য কম্পোনেন্টগুলোর যোগসুত্র আছে।তাই একটি নষ্ট হলে আরেকটি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে।তাই ল্যাপটপের ব্যাটারির যত্ন নিতে হবে।ল্যাপটপ যদি আপনি ১/২ মাসের জন্য বন্ধ রাখেন তাহলে এর ব্যাটারিটা খুলে রাখবেন।আর প্রথমবার ল্যাপটপ কেনার পরই ল্যাপটপ বন্ধ করে ফুল চার্জ দিবেন।এতে ব্যাটারিটা ভালো থাকবে।আর অনেকে আছেন যারা ল্যাপটপের চার্জ শেষ হয়ে যাবে এই ভয়ে সারাক্ষণ এতে চার্জ দিয়ে রাখেন।এতে ল্যাপটপের ব্যাটারির পাশাপাশি হার্ডডিস্কও নষ্ট হতে পারে।তাই এটা কখনই করা উচিৎ না।ল্যাপটপের ব্যাটারির কেয়ারের জন্য ফ্রি অনেক সফটওয়্যার আছে।আমি আপনাদের একটা দিলাম।ব্যাবহার করে দেখেন কেমন লাগে।
Battery Optimizer
আমার পার্সোনাল মতামতঃ
১।পিসি ডেস্কটপে সবসময় কম শর্টকাট রাখার চেষ্টা করবেন।আর যদি বেশি বেশি সফটওয়্যার ইন্সটল দেয়ার ফলে অনেক শর্টকাট ডেস্কটপে এসেই পরে সেক্ষেত্রে একটা ফোল্ডার বানান।যে প্রোগ্রামগুলো সচরাচর ইউজ করবেন সেটা ডেস্কটপে রাখুন আর যেগুলো মাঝে মাঝে করবেন সেগুলো ঐ ফোল্ডারের মধ্যে রাখুন।
২।অনেককেই দেখা যায় টাস্কবারে ৪/৫টা অ্যাপ্লিকেশন পিন করে রেখেছেন।এটা করা উচিত নয়।কারণ এগুলো প্রচুর মেমোরি খায়।আর যদি আপনার কম্পিউটার লো কনফিগারেশনের হয়ে থাকে তাইলে তো বেহাল অবস্থা হয়ে যাবে।
spacer