আবার ‘ধর্ষণের আসামির’ চিরকুট বাঁধা লাশ, এবার খুনি ‘হারকিউলিস’
ঝালকাঠিতে ছয় দিনের মাথায় আরও একজনের লাশ পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ, যার গলায় ঝোলানো চিরকুটে লেখা রয়েছে ‘ধর্ষকের পরিণতি ইহাই’।
Related Stories
নিহত
রাকিব হাসান দুই সপ্তাহ আগে ভাণ্ডারিয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান
আসামি বলে রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার বেলা ১২টা দিকে রাজাপুর উপজেলার আঙ্গারিয়া গ্রামে একটি ইটভাটার পাশের মাঠ থেকে রাকিবের লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ মামলার অপর আসামি হাসান সজল জোমাদ্দারকেও হত্যা করে গলায় চিরকুট বেঁধে লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল ধানক্ষেতে।
কে বা কারা তাদের হত্যা করে লাশ ফেলে গেছে, সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছে না পুলিশ। রাকিবের লাশের সঙ্গে চিরকুটে হত্যাকারী নিজের পরিচয় হিসেবে লিখে রেখে গেছে গ্রিক পুরানের বীর হারকিউলিসের নাম।
পরিদর্শক জাহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাকিবের মাথায়, মুখে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
আর
গলায় ঝোলানো চিরকুটে লেখা ছিল- “আমি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার… ধর্ষক রাকিব। ধর্ষকের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকরা সাবধান। হারকিউলিস।” গত ১২
জানুয়ারি সকালে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার হেতালিয়া গ্রামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে পানের
বরজে নিয়ে দেলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়।
ওই ঘটনার পর মেয়েটির পরিবার গত ১৭ জানুয়ারি ভাণ্ডারিয়া থানায় মামলা করে। শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ভিটাবাড়ি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাকিব হাসান (২৮) এবং নদমুলা গ্রামের আলম জোমাদ্দারের ছেলে সজল জোমাদ্দারকে (২৮) সেখানে আসামি করা হয়।
গত ২৬ জানুয়ারি কাঁঠালিয়া উপজেলার একটি ধানক্ষেত থেকে সজলের লাশ উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ।
মাথায় গুলিবিদ্ধ ওই লাশের গলায় ঝোলানো চিরকুটে লেখা ছিলো- “আমার নাম সজল…মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ করার কারণে আমার এই পরিণতি।”
পরিদর্শক জাহিদ জানান, রাকিবের লাশের বিষয়ে তারা ভাণ্ডারিয়া থানায় যোগাযোগ করেন। পরে আত্মীয়স্বজন এসে লাশ শনাক্ত করেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার বেলা ১২টা দিকে রাজাপুর উপজেলার আঙ্গারিয়া গ্রামে একটি ইটভাটার পাশের মাঠ থেকে রাকিবের লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ মামলার অপর আসামি হাসান সজল জোমাদ্দারকেও হত্যা করে গলায় চিরকুট বেঁধে লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল ধানক্ষেতে।
কে বা কারা তাদের হত্যা করে লাশ ফেলে গেছে, সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছে না পুলিশ। রাকিবের লাশের সঙ্গে চিরকুটে হত্যাকারী নিজের পরিচয় হিসেবে লিখে রেখে গেছে গ্রিক পুরানের বীর হারকিউলিসের নাম।
পরিদর্শক জাহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাকিবের মাথায়, মুখে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ওই ঘটনার পর মেয়েটির পরিবার গত ১৭ জানুয়ারি ভাণ্ডারিয়া থানায় মামলা করে। শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ভিটাবাড়ি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাকিব হাসান (২৮) এবং নদমুলা গ্রামের আলম জোমাদ্দারের ছেলে সজল জোমাদ্দারকে (২৮) সেখানে আসামি করা হয়।
গত ২৬ জানুয়ারি কাঁঠালিয়া উপজেলার একটি ধানক্ষেত থেকে সজলের লাশ উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ।
মাথায় গুলিবিদ্ধ ওই লাশের গলায় ঝোলানো চিরকুটে লেখা ছিলো- “আমার নাম সজল…মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ করার কারণে আমার এই পরিণতি।”
পরিদর্শক জাহিদ জানান, রাকিবের লাশের বিষয়ে তারা ভাণ্ডারিয়া থানায় যোগাযোগ করেন। পরে আত্মীয়স্বজন এসে লাশ শনাক্ত করেন।
আজ বিশ্ব হিজাব দিবস
‘বিশ্ব হিজাব দিবস’ উদযাপনের চিন্তাটা প্রথমে আসে নিউইয়র্কের বাসিন্দা নাজমা খান নামের এক নারীর মনে। হিজাবকে অনেকে দেখেন নারীদের অবদমন ও বিভাজন সৃষ্টির প্রতীক হিসেবে। নানা বিতর্ক মোকাবেলায় এই বিশ্ব হিজাব দিবসের ডাক দেন নাজমা। নাজমা খানের জন্ম বাংলাদেশে। যিনি ১১ বছর বয়স থেকে নিউইয়র্কে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। অমুসলিম ও মুসলিম নারীদের যারা সচরাচর হিজাব পরেন না, তাদের অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করেন তিনি এদিকে হিজাব দিবস পালনের ডাক দেয়ার প্রেক্ষাপট হিসেবে নাজমা জানান, তিনি যখন হিজাব মাথায় স্কুলে যেতেন, তখন তাকে অনেক অপমান ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হতো। মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় তাকে ব্যাটম্যান এবং নিনজা বলে ডাকা হত। আর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলার পর তাকে ডাকা হত ওসামা বিন লাদেন এবং সন্ত্রাসী বলে।
নাজমা আরও বলেন, ‘স্কুলে কেবল আমিই হিজাব পরতাম। এ জন্য নানা বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। তাই ভাবলাম, অমুসলিম নারীরা যদি মাত্র এক দিনের জন্য হলেও হিজাব পরেন, তাহলে মুসলিম নারীদের আর এ ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে হবে না।’
মূলত ফেইসবুক, টূইটারের মতো সোশ্যাল নেটোয়ার্কের মাধমেই এই দিবসটির চেতনা ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ফ্রান্স, জার্মানির মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই বছর প্রায় ৫০ টিরও বেশি দেশে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনটি নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় এই হিজাব দিবস। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ৩য় বারের মতো বিশ্ব হিজাব দিবস ১৪০টি দেশে পালিত হচ্ছে।
হিজাব আজকাল বাংলাদেশ সহ পাশ্চাত্যের অনেক দেশেই মুসলিম মেয়েদের জন্যে কেবল একটা ফ্যাশনের নতুন ধারা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই দিবসের মাধ্যমে ইসলামে পর্দার বিধানের যে গুরুত্ব, পর্দার প্রকৃত ধারনা এবং চেতনাকে খুব একটা প্রাধান্য দেয়া হয়নি। তবে এই দিবসের মাধ্যমে নাজমা খান অনেক মেয়ের মনেই হিজাবের গ্রহনযোগ্যতা সম্পর্কে কিছু আগ্রহ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।